বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সুনির্দিষ্ট দাবি দুটির একটি ছিল রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, অপরটি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন চাই। পেছনে ফিরে তাকালে প্রশ্ন উঠতে পারে, দুটি দাবি কেন তোলা হলো, একটিই তো যথেষ্ট হওয়ার কথা। রাষ্ট্রভাষা যদি বাংলা হয় তাহলেও সর্বস্তরে
প্রতিবাদের সঙ্গে সাহিত্যের উদ্দেশ্য পরস্পর বিরোধী। উন্নয়নের সর্বশেষ অবদান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা অ্যাটম বোমার চেয়ে বিপজ্জনক হতে পারে। এর মালিকানা অল্প কয়েকজনের হাতে চলে গেলে এর পরিণতি কতটা ভয়াবহ হতে পারে...
উন্নয়নের হিংস্র উন্মাদনায় অসুস্থ ব্যবস্থায় তরুণ ও তারুণ্য উভয়ের পক্ষেই আজ সুস্থ থাকাটা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। মনের ব্যাধি অনেক ক্ষতিকর শরীরের ব্যাধির তুলনায়। তরুণ ও তারুণ্যের জন্য সবচেয়ে বড় মানসিক ব্যাধিটা হলো হতাশা।
ফিলিস্তিন উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যার প্রতিবাদ এবং ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানিয়ে আয়োজিত সমাবেশ ও মি
আজকের পত্রিকা: স্যার, ৮৮তম জন্মদিন উপলক্ষে আপনাকে শুভেচ্ছা। প্রথমেই জানতে চাই, লেখক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর মানসগঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন কে বা কারা? সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: আমার মানসগঠনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন দুজন—আমার পিতা ও মাতা। এঁদের দুজনের মধ্যে কার প্রভাব বেশি
এক শ পাঁচ বছর আগে রুশ দেশে একটা বিপ্লব ঘটেছিল, কিন্তু সেটা কেবল সেই দেশের ব্যাপার ছিল না, ব্যাপার ছিল সারা বিশ্বের। সেটি ছিল এমন একটি রাজনৈতিক ও সামাজিক বিপ্লব, যা বিশ্বকে বদলে দিয়েছে। এই বিপ্লব মানুষের সঙ্গে...
বর্তমানে সাহিত্যের একটা দুর্দশা চলছে, যা অস্বীকার করা যাবে না। লোকে বই পড়তে চায় না এবং বলে যে, এর জন্য প্রযুক্তি দায়ী। তবে আমি বলব, প্রযুক্তি এর জন্য দায়ী নয়। অতীতের দিকে তাকালে আমরা দেখব যে, প্রযুক্তি সব সময় সাহিত্যকে সহযোগিতা করেছে। যখন কাগজ বা ছাপাখানা ছিল না, তখন প্রযুক্তিই কাগজ ও ছাপাখানা এনেছে
শিক্ষক হেনস্তা কোনো বিচ্ছিন্ন ব্যাপার নয়। এটি সমাজের বড় রোগের প্রকাশ। সমাজে যে নৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধঃপতন হয়েছে, তারই প্রকাশ। ভয়ংকর যেসব ঘটনা ঘটছে, তাতে আমাদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া উচিত।
করোনা ভয়ংকর ভাইরাস। কিন্তু তার কোপানলের পড়ে অন্য অসুখগুলোর যে উপশম ঘটেছে তা তো নয়। বিশেষভাবে বেড়েছে মানসিক বিকার। জাতীয় দৈনিকে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের কলাম থাকে। তাতে খুলনার ফুলতলা থেকে একজন লিখেছেন: ‘করোনার পর থেকে আমার ভাবনার জগৎ এলোমেলো। মা-বাবাকে নিয়েও ভেবেছি।
আফগানিস্তানে আমেরিকানদের পরাজয়ে বিশ্বের সবাই যে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত তা নয়, চীন তো নয়ই। চীন দেখা যাচ্ছে, খুশিই হয়েছে। কারণ, এই চীন তো আর আগের চীন নয়, মাও সে-তুংয়ের চীন একেবারেই নয়, যদিও এখনো তারা কমিউনিস্ট পার্টির শাসনেই রয়েছে এবং পার্টি মাও সে-তুংকে ভোলেনি বলে জানাচ্ছে।
যে নূর হোসেন বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক’ ‘স্বৈরাচার নিপাত যাক’ স্লোগান লিখে রাজপথে মিছিলে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর গুলিতে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিল, তার আত্মত্যাগেও গণতন্ত্র আসেনি।
গণতন্ত্র সম্পর্কে এত যে কথা বলা হয়, তাতে ধারণা করা মোটেই অসংগত নয় যে, গণতন্ত্র জিনিসটা কী, সে বিষয়ে সবাই একমত। সেটা অবশ্য ঠিক নয়। গণতন্ত্র বলতে নানা মত আছে, কেউ ভাবেন গণতন্ত্র হচ্ছে নির্বাচিত সরকার, অন্য পক্ষ বলেন মোটেই না, গণতন্ত্র অনেক বড় ব্যাপার।
বিরোধটা মোটেই সামান্য নয়; অতি পুরোনো, চলমান ও ক্রমবর্ধমান একটি দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে বঞ্চিত মানুষের জেতার সম্ভাবনা না দেখা দিলে অচিরেই ঘোর অরাজকতা দেখা দেবে। সেটা সামলাবে এমন সাধ্য কারোরই থাকবে না।
সাম্প্রদায়িকতা কী, সে তো আমরা অবশ্যই জানি। দেখিও। আমরা ভুক্তভোগীও বটে। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার কারণে আমাদের এই দেশে দাঙ্গা হয়েছে। দাঙ্গার পরিণতিতে একসময়ে অবিভক্ত বঙ্গ দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে, এক খণ্ড যুক্ত হয়েছে পাকিস্তানের সঙ্গে অন্য খণ্ড ভারতের।
অসুখের তৎপরতার কাহিনি তো মহাভারতসমান, বলে শেষ করার নয়। উনপঞ্চাশ বছর পার হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরির কাজ শেষ হচ্ছে না। হবে কী করে? যুদ্ধের সময় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার, বাড়তে বাড়তে সেটা এখন ২ লাখ ছাড়িয়েছে।
আমাদের নিজেদের দেশের খবর এড়ানোর উপায় নেই। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য ঘটনা ঘটছে, চাঞ্চল্যকর ঘটনাও। কয়েকটির দিকে তাকানো যেতে পারে। করোনায় ভুগে অনেক মানুষ অকালে মারা গেছে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি মানুষকে কিন্তু আকস্মিকভাবে ও অকালে চলে যেতে হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়।
ভবিষ্যতের বাংলাকে বাংলাদেশ নামকরণ নিয়ে অবশ্য মৃদু গুঞ্জন উঠেছিল। পাকিস্তানপন্থীদের কাছ থেকে নয়, তারা তো তখন অপ্রাসঙ্গিকই; স্বাধীনতাপন্থীদের কাছ থেকেই। এঁদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশ নামকরণে পশ্চিমবঙ্গের প্রতি অবিচার করা হবে; কারণ বাংলাদেশ তো কেবল পূর্ববঙ্গের নয়, পশ্চিমবঙ্গেরও।